সারা পৃথিবীর কোটি কোটি শোষিত, বঞ্চিত মানুষের মুক্তির লড়াইতে অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে বিবেচিত হয়ে এসেছে 'মা' উপন্যাস। এখনো এই চিন্তাধারা বহমান।
কোনো কোনো জরিপে, পৃথিবীর সর্বাধিক পঠিত ও বিক্রীত উপন্যাসের নাম 'মা'। পৃথিবীর সকল দেশে, সকল ভাষাভাষীর মধ্যে, সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে 'পাভেল' নাম্নী যুবকের সন্ধান পাওয়া যাবে। অনেকেরই ধারণা নেই যে, এটি 'মা' উপন্যাসের অন্যতম কেন্দ্রিয় চরিত্র পাভেলের নামানুসারে রাখা হয়ে থাকে। 'মা' উপন্যাসের পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত প্রভাবের এটি একটি দিক। পাশাপাশি শৈল্পিক বিবেচনাতেও এই উপন্যাসকে পাঠ করতে হয় রুশ তথা সারা পৃথিবীর সাহিত্যপ্রেমীদের। সাহিত্যিক মতাদর্শ হিসাবে একসময় আবির্ভূত হয়েছিল 'সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতাবাদ'। সেই মতাদর্শের পরিপূর্ণ ধারক সাহিত্যিক-মডেল হিসাবে বিবেচনা করা হয় ১৯০৬-০৭ সালে রচিত এই উপন্যাসটিকে।
.
দুনিয়া কাঁপানো অক্টোবর সমজিতান্ত্রিক বিপ্লবের পূর্বেকার উত্তাল রাশিয়ার জনজীবন হচ্ছে এই উপন্যাসের পটভূমি।
জার সরকারের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সকল স্তরের মানুষের বিক্ষুব্ধ আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন মাক্সিম গোর্কির মতো সমাজ সচেতন লেখক-বুদ্ধিজীবীরাও। এই আন্দোলনের পটভূমিতেই গোর্কি সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর অন্যতম মহৎ উপন্যাস 'মা'।