কামিজে হাতের কাজ
একটা সময় ছিল যখন বাড়ির মেয়েরা কাজের অবসরে কামিজে কিংবা ওড়নায় বিভিন্ন রকম কারুকাজ করত। হতে পারে তা সুই-সুতার কৌশলী কোনো ফোঁড়, চুমকি-পুঁতি কিংবা লেইসের কারুকাজ। সময় বদলেছে। নিজের হাতে কাজ করে পোশাক পরার মতো দীর্ঘ সময় অনেকের হাতেই নেই। তাই বলে তো আর পোশাকে হাতের কাজের যে ফ্যাশন বহুদিন ধরে চলে আসছে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। ফ্যাশনপ্রেমীদের নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে ফ্যাশন হাউসগুলো তো রয়েছেই! সেখানে গেলেই দেখা মিলবে হাতের কাজ করা জমকালো সব পোশাকের।
বাহারি কারুকাজ
ফ্যাশন হাউসগুলোতে হাতের কাজ করা কামিজ বেশি দেখা যায়। কাপড় হিসেবে সুতির জয়জয়কার সব ঋতুতেই। পাশাপাশি এন্ডি কটন, তাঁত, হাফ সিল্ক, অরগ্যান্ডি, সিল্ক, মসলিন কাপড়ের কামিজেও করা হচ্ছে হাতের কাজ। সিঙ্গেল কামিজে পুঁতি, চুমকি, বোতাম ও লেইসের বাহারি ব্যবহারও তরুণীদের নজর কাড়ছে। আবার কামিজের কাটিং, কলার, লে-আউট, ছাপা, ব্লক, বুটিক, বাটিক, লেস ও চুমকির ব্যবহার প্রায় সবকিছুতে ইদানীং বিভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। এসব কামিজে থাকছে ব্লক, কারচুপি, অ্যাপ্লিক, ভরাট অ্যাপ্লিক ও এমব্রয়ডারির কাজ। সালোয়ার-কামিজে জমকালো ভাব আনতে কামিজের কাজগুলো ভারি রাখা হচ্ছে। গলায় উজ্জ্বল রঙের সুতার কাজ থাকছে। কোনো কামিজের সম্পূর্ণ বডিতে আবার কোনোটির নিচের অংশে সুতার মোটা ও ভরাট ডিজাইন, পট্টি ও লেইস ব্যবহার করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না পেছনের অংশও। কামিজের হাতায়ও থাকছে ভারি কাজ। সালোয়ার হচ্ছে কামিজের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে। ওড়নায় থাকছে হালকা কাজ। লাল থেকে শুরু করে নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনি, কমলা, মেজেন্টা থাকছে সব ক’টা রঙই। কামিজের কাজের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে করা হচ্ছে সালোয়ার এবং ওড়নার ডিজাইন।