বাইরে থেকে বাসায় মেহমান আসলে আজকাল সবার প্রথমে আমাদের দিকে যে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেয়া হয় সেটিই হলো এটি। তাঁদেরকে চানাচুর, বিস্কুট কিংবা আপ্যায়নের জন্য অল্পস্বল্প কিছু যদি নাও দাও তবুও মেহমান কিন্তু মন খারাপ করবেন না। কিন্তু একবার যদি বলো, “চাচ্চু, আমাদের বাসায় তো ওয়াইফাই নেই!” ব্যস, ভদ্রলোকের বেজার মুখ দেখে কে?
রেস্টুরেন্ট কিংবা খাবার দোকানে ওয়াইফাই না থাকলে আমরা ক্ষেপে যাই, রেটিং-এ পারলে পাঁচ এ শূন্য বসিয়ে দিই। বিদ্যুৎ গেলে আমাদের গরম বোধ হয় না, ওয়াইফাইয়ের অভাব বোধ হয়। এমনকি যাত্রাপথে সুবিধা করে দেয়ার জন্য আজকাল দেখি বেশ কিছু বাসেও ওয়াইফাই সাইন লাগানো থাকে! মোট কথা, বর্তমানে আমাদের জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলোরই একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ওয়াইফাই!
আমাদের জীবনে বেশ বড় রকমের প্রভাব ফেলা ওয়াইফাই নিয়ে কিন্তু প্রায়ই একটি অভিযোগ আমরা শুনি। সেটি হলো, “আমার ওয়াইফাইয়ের স্পিড এত কম কেন?” সার্ভিস প্রোভাইডাররা রীতিমতো নাকানিচুবানি খেতে থাকেন এই ধরণের কথাগুলোতে- “দেয়ার সময় বলে দিলেন স্পিড পাবো ফোর এমবিপিএস। এখন দেখি আমার বন্ধুর টু এমবিপিএস-এ এর চাইতে ফাস্ট ডাউনলোড হয়। বিষয়টা কী ভাই? নেটের লাইন দেয়ার নামে জোচ্চুরি করেন?”