সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার যিনি পৃথিবীর পথহারা মানবতাকে পথের দিশা দিতে যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালামদের প্রেরন করছেনে। অতঃপর আমাদরেকে সমস্ত জগতের রহমত ও নেয়ামত আঁকা ও মওলা উম্মতের কান্ডারি, শাফায়াতের মালিক দো-জাহানের বাদশা হযরত আহমদ মোস্তবা মুহাম্মদ মোস্তবা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত করে পাঠিয়েছেন এবং আউলিয়া,গাউছ ,কুতুবদেরকে যুগে যুগে হেদায়াত দান করার জন্য এ পৃথিবীতে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পাঠিয়েছেন,প্রয়ি নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আর্দশ জমিনে সঠিক ভাবে জীবিত রাখার জন্য বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে পাঠিয়ে দ্বীনের কাজ আনজাম দিয়েছেন। তাদের অন্যতম যুগশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দেদ আওলাদে রাসূল (সা.) হযরাতুলহাজ, আল্লামা শাহ সুফী খাজা সয়ৈদ বাহাউদ্দনি আহমেদ (র.) ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ ,১৩০৬ বাংলায় এ ধরায় শুভাগমন করেন। বাবা বড় আলেম হওয়ায় প্রাথমকি শিক্ষা বাবার সংস্পর্শেই শেষ করনে। পরর্বতীতে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য কুমিল্লা মাদ্রাসায় পড়াশুনা অবস্থায় বাবার ইন্তেকালে দরবাররে দায়িত্ব নিজ কাঁধে আসে । অল্প বয়সেই ত্বরিকতের খেদমতে নিয়জিত হন। ত্বরিকতের খেদমতের পাশাপাশি মহান এই আল্লাহর অলি তার মনের ভাব ছন্দ আকারে সুর দিয়ে ভক্তদের মাজে শুনাতেন।ভক্তরা তার পাক জবান থেকে শুনে মুখস্ত করে ফেলত। এভাবে দিনে- দিনে অনেক কালাম হয়ে গেল। পরর্বতীতে ভক্তদের কাছ থেকে তারই যোগ্যতম উত্তরসূরি আমার মহান মুর্শিদ কেবলা হযরত মাওলানা শাহ সুফী সয়ৈদ এমাদ উদ্দনি আহমেদ (র.) সাহেব এগুলো ভক্তদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ১৯৮৭ সালে প্রথম বই আকারে প্রকাশ করনে। বাবাজান কেবলা উক্ত বইখানার নাম রেখে গেছেন "ভাবের দেশ "। এই বইখানাকে দুই খন্ডে ভাগ করা হয় এবং দুই খন্ড একই বইয়ে ছাপিয়ে পাঠকদের হাতে তুলে দিয়ে ভক্তদের মনের তৃষ্ণা নিবারণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ২য় ও ৩য় সংস্করণ ও পরর্বতীতে আমার চাচা আল সংস্করন ছাপানোর জন্য আমার আম্মা হুজুর ও বড় ভাইজান শাহজাদা সয়ৈদ সাঈম উদ্দিন আহমেদ (মা.জ.আ .) -এর অনুমতি ও নির্দেশে হাজ্ব সৈয়দ রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ (র.) এর তত্ত্বাবধানে ছাপানো হয়। ৪র্থ ছাপাতে সক্ষম হয়েছি। আমার এই শ্রম ও খেদমত কবুল করে যেন ভাবের দেশ এর সকল পাঠকদের খেদমতে আমার জীবন উৎসর্গ করতে পারি।