‘আলিফ-লাম-রা- এগুলো হচ্ছে একটি সুস্পস্ট গ্রন্থের আয়াত। নিঃসন্দেহে আমি একে আরবি কোরআন হিসেবে নাযিল করেছি। যেন তোমরা তা অনুধাবন করতে পার। হে নবী (সা.)! আমি তোমাকে কোরআনের মাধ্যমে একটি সুন্দর কাহিনী শোনাতে চাচ্ছি যা তোমার কাছে ওহি হিসেবে পাঠিয়েছি। অথচ এর আগ পর্যন্ত তুমি এ কাহিনী সম্পর্কে ছিলে বেখবর।এটা হচ্ছে সে সময়ের কথা যখন ইউসুফ তার পিতাকে বলল : ‘হে আমার পিতা! আমি স্বপ্নে দেখেছি এগারোটি তারা ও চাঁদ-সূর্য আমার প্রতি সেজদাবনত।’ শুনে তার পিতা তাকে বলল : ‘হে আমার পুত্র! তোমার স্বপ্নের কথা তোমার ভাইদের কাছে বলে দিও না। তারা তোমার প্রতি ষড়যন্ত্র ও বিদ্বেষে লিপ্ত হবে। কারণ, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।’
সূরা ইউসুফের এই আয়াতগুলো দ্বারাই আরম্ভ হয় দর্শকনন্দিত ইরানি সিরিয়াল ‘ইউসুফ জুলেখা’র প্রতিটি পর্ব। বাংলায় ডাবিংকৃত এ সিরিয়ালটি গত ২৭ নভেম্বর ২০১৬ থেকে বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস এ টিভিতে প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবারে রাত ৮.৪০ মিনিটে প্রদর্শিত হচ্ছে। পুনঃপ্রচার করা হয় রাত ১২.৩০ মিনিটে। এছাড়াও প্রতি শনিবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে গত সপ্তাহের প্রদর্শিত পাঁচ দিনের পর্বগুলো পুনঃপ্রদর্শিত হয়। বাংলায় ডাবিংকৃত এ সিরিয়ালটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত মুসলমানদের নবী ইয়াকুব (আ.) ও তাঁর পুত্র ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
জ্ঞানের মাধ্যম হিসেবে প্রিন্ট মিডিয়া, প্রকাশনা, বই-পুস্তক তো রয়েছেই এবং তা থাকবে। কিন্তু বিজ্ঞানের এ যুগে সবচেয়ে শক্তিশালী মিডিয়া হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া। মানুষের চিন্তা-চেতনা, বোধ-বিশ্বাস, ধর্মানুভূতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিষয়আসয় এ মিডিয়ার মাধ্যমে জনমনে প্রসারিত করা যায় সবচেয়ে দ্রুত। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার এ যুগে একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একবার এক বক্তৃতায় বলেছিলেন : ‘আমি সারাদেশ ঘুরে ঘুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তৃতা দিয়ে যে জিনিস মানুষকে বোঝাতে পারি না তা এক ঘণ্টার একটি সিনেমা মানুষকে বোঝাতে সক্ষম। মনে হয় আমাকে চলচ্চিত্রই নির্মাণ করতে হবে।’