ডুবুরি-পোশাক পরে সাগরে ডুব
ডুবুরি-পোশাক পরে সাগরে ডুব দিয়েছ কখনও? জিজ্ঞেস করলেন ডেভিস ক্রিস্টোফার।
প্যাসিফিক স্টুডিও। বিখ্যাত চিত্রপরিচালকের অফিসে বসে আছে তিন গোয়েন্দা।
বিশাল টেবিলের ওপাশে বসা মিসটার ক্রিস্টোফারের দিকে চেয়ে বলল মুসা আমান, হ্যাঁ, স্যার, ড়ুবেছি। গতকাল শেষ পরীক্ষা নিয়েছেন আমাদের ইনস্ট্রাকটর। পাস করেছি। ভালভাবেই।
অভিজ্ঞ ডুবুরি নই আমরা, যোগ করল কিশোর পাশা। তবে নিয়মকানুন সব জানি। ফেস মাস্ক আর ফ্লিপার আছে আমাদের তিনজনেরই।
গ্যাস ট্যাংক আর অন্যান্য যন্ত্রপাতি? জানতে চাইলেন চিত্রপরিচালক।
গুড, বললেন মিস্টার ক্রিস্টোফার। মনে হয় কাজটা করতে পারবে তোমরা।
কাজ! বলে উঠল রবিন।
হ্যাঁ, বললেন চিত্রপরিচালক। একটা রহস্যের কিনারা করতে হবে। সেজন্যেই ডেকেছি তোমাদের। আর হ্যাঁ, এক-আধটু অভিনয়ও করতে হবে।
অভিনয়? ভুরু কোঁচকাল মুসা। কিন্তু আমরা তো স্যার, অভিনেতা নই। কিশোর অবশ্য মাঝেমধ্যে টেলিভিশনে…
অভিজ্ঞ অভিনেতার দরকার নেই ওদের, বললেন মিস্টার ক্রিস্টোফার। মুসা, তোমার বাবা কোথায় আছে এখন, জান?
জানি স্যার, অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান মুসার বাবা রাফাত আমান। ছবির শুটিঙের সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তদারকির ভার থাকে তাঁর ওপর। ফিলাডেলফিয়ায়।
ভুল বললে, হাসলেন পরিচালক। রাফাত এখন একটা দ্বীপে।