মহান আল্লাহ পাকের সৃষ্ট সকল মানুষদের মধ্য থেকে কিছু বিশেষ বিশেষ নেয়ামত দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের মধ্য থেকে বিশেষায়িত করে কয়েকজন নারী সৃষ্টি করেছেন যাঁদের গুণাগুণ তুলনা করা নবী করীম (সাঃ)-এর নগন্য উম্মতের সাধ্যের বাইরে। তাঁদের মধ্য থেকে উন্মুহাতুল মুমেনীনগণের ইতিহাস শুনতে ও জানতে প্রত্যেক মুসলমান চেষ্টা করেন।
রমণীদের মধ্যে হযরত ঈসা (আঃ)-এর জননী এবং ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া ব্যতীত অপর কোন মহিলা আয়েশা হতে মর্যাদার চরম শিখরে আরোহণ করতে পারেন নাই। হুযুর (সাঃ)-এর বিবিগণের মধ্যে আয়েশা (রাঃ) ছিলেন তৃতীয় এবং ফাতেমা (রাঃ) ছিলেন নবী করীম (সাঃ) প্রথম স্ত্রী খাদিজা (রাঃ)-এর সন্তান।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সর্ব সময়ের সঙ্গী ও বন্ধু হযরত আলী (রাঃ)। হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন ইসলামের শেষ ও চতুর্থ খলিফা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চাচা আবু তালিবের জ্যৈষ্ঠ পুত্র।
প্রিয় নবী (সাঃ)-এর সহিত সর্বদা একত্রে থাকার সুযোগ এবং সুনিপূণভাবে তাহাকে জানিবার সৌভাগ্য একমাত্রই আলী (রাঃ) সবপেক্ষা বেশি ছিলেন।
হযরত আলী (রাঃ) জীবনভর মহাননবী (সাঃ) এর খেদমতে ও সাহচর্য্যে উৎসর্গ করে ছিলেন। হযরত আলী (রাঃ) অত্যন্ত সমরকুশলী ও সাহসী ছিলেন। তাঁহার মত সাহসী ও নির্ভিক যোদ্ধা, বীর শক্তিমান মানব তখনকার দিনে আরবে আর কেউ ছিল না। যুদ্ধ ক্ষেত্রে তাঁহার হুঙ্কার, বাহুবল, অত্যন্ত সাহসীকতার ও অস্ত্রের চাকচিক্যে বিধর্মী শত্রুরা হতাশাগ্রস্ত হইয়া পরাজয় স্বীকার করেছিলেন এবং বাধ্য হইয়া তাহারা পরাজয় বরণ করিতেন।
হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন ইসলাম ধর্মের একজন মহান খাদেম। ইসলামের স্বার্থের জন্য তিনি জীবনের সকল স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়া ছিলেন।