ইবলিসের চ্যালেঞ্জের মাধ্যমেই লড়াইটা শুরু হয়েছিল। আজ অবধি সে লড়াই অব্যাহতভাবে চলছে। তখন থেকে এখন, ইবলিস তার মিশনে সদা তৎপর। জাহেলিয়াতের সমস্ত উপায়-উপকরণ ব্যবহার করে মানুষদের ঈমানচ্যুত করার প্রচেষ্টা চলেছে, চলছে। তবুও ইসলাম তার আপন মহিমায় ফুলেল সৌরভ বিলিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রতি ইঞ্চি মাটিতে। স্বভাব বৈশিষ্ট্য দিয়ে ইসলাম ঈমানদারদের বিশ্বাসের ভিত্তিকে কেবল সুদৃঢ়ই করেনি; একইসঙ্গে অবিশ্বাসীদের চিন্তার সাগরেও ঢেউ তুলেছে তুমুল বেগে। দুনিয়ার সকল তন্ত্র-মন্ত্র-আদর্শ ইসলামের পতাকাতলে লুটিয়ে পড়েছে অনিবার্যভাবে। আধুনিক সভ্যতার মোড়কে চাকচিক্যময় দুনিয়ার কৃত্রিম আলোকোজ্জ্বল উপস্থাপনাও জাহেলিয়াতকে রক্ষা করতে পারছে না। শান্তির সন্ধানে দিগ্ভ্রান্ত লাখো মুসাফির পরম আশ্রয় হিসেবে ইসলামের বর্মই পরিধান করছে। এ যেন মরুর বুকে তৃষ্ণার্ত পথিকের শীতল পানির সন্ধান পাওয়া!
দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প বইয়ে আমরা এমনই তৃষ্ণার্ত ১৩ জন মানুষের ইসলামের পতাকাতলে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়ার গল্প পড়ব। বিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের ভাই-বোনদের হৃদয়ের হাহাকার দেখব। ইসলামের কোন সম্মোহনী শক্তি তাদের টেনে ধরল, কোন সে পরশপাথর তাদের হৃদয়কে বিগলিত করল, কী তাদের ইসলাম গ্রহণের মতো এত বড়ো সিদ্ধান্ত নিতে স্পৃহা জোগাল-প্রতিটি গল্পে তার উত্তর পাবেন ইনশাআল্লাহ। অবিশ্বাসীরা প্রতিটি গল্পের সাথে নিজেদের জীবনধারা মিলিয়ে নিতে পারবেন। আমরা বিশ্বাসীরাও হৃদয় থেকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হব, জন্মসূত্রে কত মূল্যবান পরশমণি পেয়েছি।
সামছুর রহমান ওমর ও কানিজ শারমিন দম্পতিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। বইটি নিয়ে উভয়ই অনেক শ্রম দিয়েছেন। অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় গল্পগুলো সাজিয়েছেন। এই বইটি পাঠকদের হাতে তুলে দিতে পেরে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। বইটি বাংলাভাষী পাঠকদের হৃদয় স্পর্শ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বিশ্বাসের আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি প্রাণ।