শাক সবজি চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দামি বা সস্তা যে ধরনের খাবারই খাই না কেন, তার মধ্যে শাকসবজির গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খেয়ে থাকি। কেননা শাকসবজিতে সব ধরনের খাদ্য উপাদানই রয়েছে। তার মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ লবণ উল্লেখযোগ্য যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেহে ভিটামিন ও খনিজ লবণের যে চাহিদা তার সবটুকুই প্রায় শাকসবজি থেকেই পূরণ হয়। আজকাল হৃদরোগ, চর্মরোগ ও বহুমূত্র রোগের মতো নানা ধরনের রোগীকে ওষুধের পরিবর্তে পথ্য হিসেবে বেশি করে শাকসবজি খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। আবার চোখের সমস্যার জন্য সবুজ বা রঙিন শাকসবজি অত্যন্ত উপকারী। তাহলে শুধু খাবার হিসেবেই নয়, ওষুধ, পথ্য, পুষ্টি ও সুষম খাদ্যের জন্য আমাদের প্রতিদিনই হরেক রকম শাকসবজি খেতে হলে কিছু না কিছু শাকসবজি উৎপাদন করা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দৈহিক চাহিদা পূরণের জন্য বেশি করে শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশপাশি দানা জাতীয় খাদ্যের ওপর বাড়তি চাপও কিছুটা কমে যাবে। এজন্য আমরা যদি আমাদের যার যতটুকু সুযোগ আছে সে অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করতে পারি, তাহলে আমাদের পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারব।
কৃষক ভাইয়েরা, আজকাল শাকসবজি চাষ করা বেশ লাভজনক। শাকসবজি চাষের সুবিধে হলো ফসলি জমিতে যেমন উন্নত পদ্ধতিতে শাকসবজি চাষ করা যায়, তেমনি আইল বা রাস্তার ধারে, বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে, পুকুর পাড়ে এমনকি বাড়ির আঙিনায়, রান্নাঘরের চালে, দালানের ছাদে, বারান্দার টবে, টিন বা মাটির পাত্রেও অনেক রকমের সবজি ফলানো সম্ভব। বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়ে এবং গৃহিনীরা বসতবাড়ির সবজি বাগানের সামান্য যতœ নিলে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাজারে বিক্রি করলে বাড়তি করলে বাড়তি আয় আসতে পারে। এভাবে ব্যক্তিগত চাহিদাই শুধু পূরণ হবে না বরঞ্চ দেশের সার্বিক চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হবে।
শাকসবজি চাষে প্রধান কাজটি হলো জমি নির্বাচন ও জমি তৈরি তা জেনে নিই-
আলো বাতাস চলাচলের সুবিধা, সেচের সুবিধা, অতি বৃষ্টির সময় জমি থেকে পানি বের করার সুবিধে আছে এরকম উর্বর দো-আঁশ মাটি সবজি চাষের জন্য অত্যন্ত ভালো।
শাকসবজি অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির ফসল। সেজন্য একটু যত্নের সাথে এর চাষ করতে হয়। সবজির জমি খুব মিহি ও ঝুরঝুরেভাবে তৈরি করতে হয়। জমি সমতলভাবে তৈরি করবেন। এজন্য প্রতিটা চাষের পর পরই ভালোভাবে মই দিলে জমিতে বড় কোনো ঢেলা থাকবে না। বেড় করে শাকসবজি চাষের ব্যবস্থা নিলে সেচ ও পরিচর্যার সুবিধা হয়, আর ফলনও বেশি হয়। জমি তৈরির সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব বা আবর্জনা পচা সার দিতে হবে। জমিতে রসের অভাব থাকলে সেচ দিয়ে ‘জো’ এলে তারপর চাষ মই দিয়ে জমি তৈরি করে বীজ বুনবেন। আবার অনেক রকমের সবজি মাদাতে লাগাতে হয় যেমন- শসা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া এসব। এগুলোর প্যাকেটে চারা তৈরি করে নির্দিষ্ট দূরত্বে মাদা তৈরি করে চারা লাগাতে হয়। চারা লাগানোর পর গাছগুলো বড় হতে থাকলে বাউনি বা মাচা তৈরি করে দিতে হয়। আর হ্যাঁ, মাদাতে চারা লাগানোর আগে পরিমাণমতো সুষম হারে রাসায়নিক সারও দিতে হবে।
শাকসবজি চাষে সারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
ঢলে পড়া ও গোড়া পচা রোগ থেকে চারাকে রক্ষার জন্য আগেই মাটি শোধন করা ভালো। চারা গজানোর পর ‘গোড়া পচা’ রোগ দেখা দিলে বীজতলায় পানির পরিমাণ কমাতে হবে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করে অথবা শুকনো বালি বা ছাই ছিটিয়ে দিয়ে আর্দ্রতা অর্থাৎ পানির পরিমাণ কমানো যেতে পারে। একই সাথে ডাইথেন এম-৪৫ অথবা কপার অক্সিক্লোরাইড প্রয়োগ করে রোগের বৃদ্ধি রোধ করা যায়।
তাই আসুন কৃষক ভাইয়েরা আমরা একটু চিন্তা-ভাবনা করে বুদ্ধি খাটিয়ে হরেক রকম সবজি চাষে মনোযোগী হই। নিজে লাভবান হই। সে সাথে দেশের সার্বিক পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সহায়তা করি।
আশাকরি, শাক সবজি চাষের পদ্ধতি অ্যাপলিকেশনটি পড়ে আপনারা প্রাত্যাহিক জীবনে অনেক উপকৃত হবেন এবং আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের মাঝে এ্যাপটি শেয়ার করে তাদেরকে ও পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
আপনার পজিটিভ রেটিং (৫ স্টার,রিভিউ) আমাদের অনুপ্রেরণা করে এবং অন্য ইউজারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
বিঃ দ্রঃ এই অ্যাপ সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অভিমত আমাদের একান্ত কাম্য। ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পাঠানো অভিমতের ভিত্তিতেই এই অ্যাপের উন্নয়ন ও সংশোধনের ব্যাবস্থা করা হবে। (ইনশাআল্লাহ) ধন্যবাদ