জাপান তুলনামূলকভাবে একটি ছোট দেশ হলেও এখানে বিস্ময়করীভাবে বহু সংখ্যক উপভাষা প্রচলিত, যেগুলি উচ্চারণ, ব্যাকরণ এবং শব্দভাণ্ডারের দিক থেকে একে অপরের চেয়ে আলাদা। অনেকগুলিই পরস্পর বোধগম্য নয়। জাপানি উপভাষাগুলিকে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়: পূর্ব জাপানি: এর মধ্যে পড়েছে হোক্কাইদৌ, তৌহোকু, কান্তৌ, তৌক্যৌ, নাগোয়া, মিকাওয়া, ইত্যাদি। পশ্চিম জাপানি: হোকুরিকু, তোয়ামা, ফুকুই, কান্সাই, ঔসাকা, কৌবে, ক্যৌতো, চুউগোকু, হৌনিচি, মিয়াযাকি, হাকাতা, কাগোশিমা, ইত্যাদি। জাপানি ভাষার দুইটি রূপ আদর্শ হিসেবে স্বীকৃত। হিয়োজুংগো বা আদর্শ জাপানি এবং কিয়োতসুগো বা সাধারণ ভাষা। স্কুল কলেজে, টেলিভিশনে ও সরকারি যোগাযোগের ক্ষেত্রে হিয়োজুংগো ব্যবহার করা হয়। আদর্শ জাপানি ভাষাটি আবার লিখিত বুংগো এবং মৌখিক কোগো ভাষায় ভাগ করা যায়। মৌখিক ও লিখিত রূপের মধ্যে ব্যাকরণ ও শব্দভাণ্ডারের পার্থক্য আছে। ১৯৪০-এর দশক পর্যন্ত বুংগো জাপানি ভাষার লিখিত রূপ ছিল। তবে বর্তমানে কোগো-ই লিখিত ভাষা হিসেবে বেশি প্রচলিত। ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক এবং আইনজীবীদের কাছে বুংগো এখনও গুরুত্বপূর্ণ। আদর্শ জাপানি ভাষাটি তৌক্যৌর উপভাষার উপর ভিত্তি করে নির্মিত, তবে এটি পুরোপুরি তোকিও-র ভাষার মত নয়। জাপানের সর্বত্র এটি একই রূপে প্রচলিত নয়। বরং অঞ্চলভেদে আদর্শ জাপানি ভাষাটিরও কিছু বৈচিত্র্য দেখতে পাওয়া যায়। অনেক লোক আদর্শ ভাষার পাশাপাশি তাদের স্থানীয় উপভাষাতেও কথা বলেন।