মাতা-পিতা ও সন্তানের হকইসলাম
Install Now
মাতা-পিতা ও সন্তানের হকইসলাম
মাতা-পিতা ও সন্তানের হকইসলাম

মাতা-পিতা ও সন্তানের হকইসলাম

সন্তানের ওপর পিতা মাতার প্রতি ১৪টি হক বা দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। আল্লাহর ইবাদত

Developer: SELIM ISLAM 85
App Size: Varies With Device
Release Date: Jan 20, 2023
Price: Free
Price
Free
Size
Varies With Device

Screenshots for App

Mobile
আল্লাহর হক হলো মানুষ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে এবং আল্লাহর সঙ্গে শরিক করবে না। বান্দার হকের মধ্যে পিতা–মাতার হক সর্বাগ্রে। সন্তানের প্রতি পিতা–মাতার হক বা অধিকার হলো সন্তান পিতা–মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে এবং তাদের কষ্ট দেবে না। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁর সঙ্গে শরিক করো না এবং পিতা–মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৩৬)। ‘আর আমি নির্দেশ দিয়েছি মানুষকে, তার পিতা–মাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার।’ (সুরা-৪৬ আহকাফ, আয়াত: ১৫)। ‘আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি যে তুমি আমার এবং তোমার পিতা–মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে।’ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৪)।

একজন সাহাবি নবীজি (সা.)–কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার অধিকার সবচেয়ে বেশি কার? নবীজি (সা.) বললেন, তোমার মায়ের। সাহাবি পুনরায় প্রশ্ন করলেন, নবীজি (সা.) বললেন, তোমার মায়ের। সাহাবি আবারও জানতে চাইলেন, নবীজি (সা.) বললেন, তোমার মায়ের। এরপর সাহাবি জানতে চাইলে নবীজি (সা.) বললেন, তোমার বাবার। (বুখারি ও মুসলিম)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পিতা–মাতা হলো তোমার জান্নাত এবং জাহান্নাম অর্থাৎ তুমি ইচ্ছা করলে তাদের খেদমত করে উত্তম আচরণের মাধ্যমে জান্নাত অর্জন করতে পারো; আবার ইচ্ছা করলে তাদের অবাধ্য হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করতে পারো।’ (ইবনে মাজাহ)। পিতা–মাতার অবাধ্যতার জন্য যেমন রয়েছে অভিসম্পাত, তেমনি তাঁদের আনুগত্যের জন্য রয়েছে পুরস্কারের ঘোষণা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যখন কোনো অনুগত সন্তান স্বীয় পিতা-মাতার প্রতি অনুগ্রহের নজরে দৃষ্টিপাত করে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি করে কবুল হজের সওয়াব দান করেন।’ (বায়হাকি)।

এক সাহাবি (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আমার পিতা–মাতা ইন্তেকালের পরেও কি তাদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহারের কোনো কিছু দায়িত্ব অবশিষ্ট আছে?’ তখন নবী করিম (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, আছে। তা হলো তাঁদের জন্য দোয়া করা, তাঁদের গুনাহের জন্য তওবা–ইস্তিগফার করা, তঁাদের শরিয়তসম্মত অসিয়তগুলো আদায় করা, তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাঁদের বন্ধুবান্ধবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। এগুলো পিতা–মাতার মৃত্যুর পরও তঁাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের শামিল।’ (আবু দাউদ)। অন্য হাদিসে আছে, ‘পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি, পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।’ (তিরমিজি)। পিতা–মাতার জন্য দোয়া করতে কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা শিখিয়েছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি তঁাদের প্রতি দয়া করুন, যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছেন।’ (সুরা-১৭ বনী ইসরাইল, আয়াত: ২৪)।

সন্তানের ওপর পিতা–মাতার প্রতি ১৪টি হক বা দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি তাঁদের জীবদ্দশায় আর সাতটি তাঁদের ইন্তেকালের পর। জীবিত অবস্থায় ৭টি করণীয় কর্তব্য হলো সম্মান ও শ্রদ্ধা করা, ভালোবাসা, মান্য করা, সেবাযত্ন করা, সুখ–শান্তির চিন্তা ও ব্যবস্থা করা, প্রয়োজন পূরণ করা ও দূরে থাকলে দেখা–সাক্ষাৎ করা। ইন্তেকালের পর ৭টি করণীয় হলো তঁাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনামূলক দোয়া করা, ইবাদতের মাধ্যমে সওয়াব রেসানি করা, তাঁদের বন্ধুবান্ধব ও নিকট স্বজনদের সম্মান করা, তঁাদের বন্ধুবান্ধব ও নিকট স্বজনদের সাহায্য–সহযোগিতা করা, তঁাদের ঋণ থাকলে পরিশোধ করা ও তাঁদের কাছে কারও গচ্ছিত আমানত থাকলে তা প্রত্যর্পণ করা, বৈধ অসিয়ত পূর্ণ করা, কবর জিয়ারত করা।

পিতা–মাতার জন্য করণীয় বিশেষ কিছু আমল: পিতা–মাতার মৃত্যুর পর বা বার্ষিকীগুলোতে প্রচলিত নিয়মে খাওয়া মেজবানির আয়োজন না করে নগদ টাকা গরিব–মিসকিনকে দান করা অধিক উপকারী। পিতা–মাতার জন্য ফরজ ও নফল বদলি হজ ও ওমরাহ করা যায় এবং তাঁদের পক্ষে কোরবানিও করা যায়।
সন্তানের জন্য সবচেয়ে আপন হলো মাতা-পিতা। তদ্রূপ মাতা-পিতার জন্য সবচেয়ে আপন হলো সন্তান। সুসন্তান পার্থিক জীবনে সুখ-শান্তির এবং পরকালে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। মহানবী (সা.) বলেছেন, মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন থেকে তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমল অবশিষ্ট থাকে। (এ সবের পুণ্য সে মৃত্যুর পরেও প্রাপ্ত হবে।) ১. সদকায়ে জারিয়ার সাওয়াব, ২. মানবের উপকৃত জ্ঞানের পুণ্য এবং ৩. নেক সন্তানের দোয়া (মুসলিম, মিশকাত পৃষ্ঠা ৩২)। আল্লাহ আলুসি (রহ.) বলেছেন, ধনসম্পদ প্রাণরক্ষার মাধ্যম, আর সন্তান বংশরক্ষার মাধ্যম। সন্তান আল্লাহ তাআলার বিশেষ নেয়ামত। বৃদ্ধকালে সন্তানই হয় মাতা-পিতার আল্লাহ ছাড়া একমাত্র ভরসা।

সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার দায়িত্ব : সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার রয়েছে অসংখ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেমন—

একত্ববাদের বাণী শোনানো : সন্তান জন্মের পর প্রথম সুন্নাত কাজ হলো ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া। এর ফলে সন্তানের কানে সর্বপ্রথম একত্ববাদের বাণী পৌঁছে।
Show More
Show Less
More Information about: মাতা-পিতা ও সন্তানের হকইসলাম
Price: Free
Version: 2.0
Downloads: 574
Compatibility: Android 4.4
Bundle Id: com.seli.book
Size: Varies With Device
Last Update: 2023-01-20
Content Rating: Everyone
Release Date: Jan 20, 2023
Content Rating: Everyone
Developer: SELIM ISLAM 85


Whatsapp
Vkontakte
Telegram
Reddit
Pinterest
Linkedin
Hide