এটি ধীরে ধীরে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পতঙ্গ গুলিকে দুর্বল করে দেয়। পুরুষদের জন্য একেবারে এই রোগটি ভালো না। ভবিষ্যতে অনেক জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে এই রোগের ফলে।
স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বাজে স্বপ্নের অভিজ্ঞতা। এটাকে ভেজাস্বপ্নও বলা হয়। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো সেক্স ড্রিম বলে। কিছু পুরুষ কেবল একটা নির্দিষ্ট বয়সে এ ধরনের স্বপ্ন দেখেন, পক্ষান্তরে অন্য বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই সারাজীবন এ ধরনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। স্বপ্নদোষের স্বাভাবিক একটি মাত্রা রয়েছে। যেমন মাসে ৩ থেকে ৪ দিন। এটি হলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এর বেশি হলে ডাক্তারটা সেটাকে সমস্যা মনে করেন। এরকমটা হলে সে ক্ষেত্রে আপনার অভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং ঘুমের পূর্বে কিছু তেলাওয়াত ও আমল করতে হবে। একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোসটেরনসমৃদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক বালক টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ানোর ফলে তাদের স্বপ্নদোষের মাত্রাও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে। অনেক রোগী স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ বলে মনে করেন। তাদের ধারণা, যৌবনে এটা একটা প্রধান যৌন সম্পর্কিত রোগ। কেউ কেউ নানা ধরনের চিকিৎসা করান এমনকি স্বপ্নদোষের জন্য প্রচলিত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান। এদের অজ্ঞতার সুযোগ নেন অনেকে। স্বপ্নদোষকে ভয়াবহ রোগ হিসেবে অভিহিত করে রোগীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।
তাহলে চলুন এই এপসটির মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে কি কি করতে হবে ।
*ধন্যবাদ*