1.ঈমাম মুসল্লিদেরকে নিয়ে ২ রাকআত নামাজ পড়বে।
2. তার পর ঈদের নামাজের নিয়ত করিতে হবে, মনে রাখিতে হবে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নিয়ত একটু ভিন্ন।
• ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত -‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা আলা রাকয়া তাই ছালাতি ঈদিল ফিতরে মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা আলা ইক্বতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
•ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা আলা রাকয়া তাই ছালাতি ঈদিল আদ্বহা মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা আলা ইক্বতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।’
3.প্রথম রাকআতে তাকবীর তাহরীমা বলে হাত বাঁধবে। অতঃপর সানা পাঠ করে তিনবার তাকবীর বলে কেরাত পাঠ শুরু করবে। কেরাত শেষে তাকবীর বলে রুকুতে যাবে।{সানা سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلا إلَهَ غَيْرُكَ উচ্চারণ : সুবহানা কাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা।
4.দ্বিতীয় রাকআতে প্রথমে কেরাত পড়বে। কেরাত শেষে তিনবার তাকবীর বলবে ও ৪র্থ তাকবীর বলে রুকুতে যাবে।\n\n
5.তাকবীরে হাত উঠাতে হবে এবং শেষ তাকবীর চারা প্রত্যেক তাকবীরে হাত পাশে ঝুলিয়ে রাখবে।
6.নামাজ শেষে ইমাম ২টি খোতবা পাঠ করবেন।
7.ঈদুল ফিতরের খোতবায় ইমাম লোকদের সাদাকাতুল ফিতর এবং তার আহকাম ও মাস্যালা সমূহ আর ঈদুল আযহার খোতবায়ে কুরবানির মাসয়ালাসমূহ ও তাকবীরে তাশরীক শিক্ষা দেবেন।।
মুসলিম মিল্লাতের জন্য ঈদ একটি গুরুত্বপূণ।
১) সম্মিলিত তাকবীর: একজন তাকবীর পাঠ করবে আর অন্যরাও সমস্বরে তাকবীর পাঠ করবে-এটা ঠিক নয়। (বরং প্রত্যেকেই নিজে নিজে উঁচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করবে-এটাই সুন্নত)
২) ঈদ আনন্দের নামে ঈদের দিনগুলোতে গান-বাজনা শোনা, ফ্লিম দেখা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ইত্যাদি অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়া।
৩) কুরবানী করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি কুরবানী করার আগে নখ-চুল ইত্যাদি কর্তন করা। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটি নিষেধ করেছেন।
৪) বিনা প্রয়োজনে অতিরিক্ত খরচ করা বা অপচয় করা: এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা বলেন: