প্রবাদ-প্রবচন মানবজীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত প্রকাশ। এগুলোর মূলে আছে কোন ঘটনা বা কাহিনী। এতে অনেক মূল্যবান উপদেশ পাওয়া যায়। কবে ও কোথায় এসবের উৎপত্তি হয়েছে, তা ঠিক করে বলা যায় না। দিনের পর দিন প্রবাদ-প্রবচনগুলো লোকমুখে প্রচলিত হয়ে আসছে।
অনেকদিন ধরে লোকমুখে প্রচলিত জনপ্রিয় উক্তি যার মধ্যে সরলভাবে জীবনের কোনো গভীরতর সত্য প্রকাশ পায় সেগুলো প্রবাদ বা প্রবচন নামে অভিহিত হয়ে থাকে। কোনো স্বচ্ছন্দ, আন্তরিক কথাবার্তায় বা বর্ণনায় বক্তব্যকে চমকপ্রদ করে ইঙ্গিতময় করে তোলার ক্ষেত্রে সাধারণত প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহার হয়ে থাকে। নতুন অর্থে এর ব্যবহার হয় না বললেই চলে। যেমন- পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে।
এক কথায় প্রবাদ লোক-অভিজ্ঞতার ফসল, প্রবচন ব্যক্তিগত মনীষার সৃষ্টি। প্রবচনের আধুনিক প্রতিশব্দ হচ্ছে, সুভাষণ বা সুভাষিত। বাংলায় ভারতচন্দ্র রায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রমুখ অনেক অনেক সাহিত্যিকের রচনার কোনো কোনো অংশ প্রবচনে পরিণত হয়েছে। প্রবচন বা সুভাষিতের এ রকম কিছু নিদর্শন : -
১. 'চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনি।' (কাশীরাম দাস).
২. 'জামাতা ভাগিনা যম আপনার নয়।' (মুকুন্দরাম চক্রবর্তী).
৩. 'কড়িতে বাঘের দুধ মিলে।' (ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর).
৪. 'যে কহে বিস্তর মিছা সে কহে বিস্তর' (ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর).
এই এপ্স্য এ পাবেন ৬০০ শতাধিক বাংলা ও ইংরেজি প্রবাদ বাক্য।