মাখরাজ সহ আরবি ভাষা শিক্ষা-Arabi Sikkha/আরবি ভাষা শিক্ষার বই উচ্চারণ সহ
মাখরাজ সহ আরবি ভাষা শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
আরবী ভাষা শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের ধর্মীয় কর্তব্য এবং সন্তানদের আরবী শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করে দেওয়া মুসলিম পিতামাতা ও অভিভাবকদের দায়িত্ব। কোরআন তেলাওয়াত করার মত যোগ্যতা অর্জণ করা সকলেরই করণীয়। অন্তত নামাজ পড়ার মত সূরা কেরাত ও আনুষাঙ্গিক দোয়াদরূদ জানা অবশ্যই কর্তব্য। কেননা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে এসব জানা থাকলে নামাজ, রোজা ফরজ হওয়ার বয়সে কোরআনের সূরা কেরাত সহজ হয়ে যায়। নামাজের জন্য এগুলো জানা থাকা অবশ্যই অপরিহার্য জরুরী।
আরবী ভাষার গুরুত্ব, তাৎপর্য ও প্রয়োজনীয়তার ওপর সামান্য আলোকপাত করা জরুরী মনে করি। আমাদের দেশে আরবী ভাষা শেখা এবং শিক্ষা দেওয়ার যে অনুশীলন আবহমানকাল হতে বিদ্যমান তা সকলের জানা। আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে নানা প্রক্রিয়ায় এ ভাষার চর্চা, অনুশীলন এবং গবেষণার ক্ষেত্র ব্যাপক ভিত্তিতে প্রশস্ত করা হলে এর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আগামী প্রজন্মের জন্য অপেক্ষা করছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, নবি করিম স. বলেছেন, তোমরা তিন কারণে আরবিকে ভালোবাস, কেননা আমি আরবি ভাষাভাষি, কুরআন আরবি ভাষায় অবতীর্ণ এবং জান্নাতিদের ভাষা হবে আরবি। (শুয়াবুল ইমান, বায়হাকি, বুখারি) হযরত উমার রা. বলেন, তোমরা হাদিসের জ্ঞান অর্জন কর এবং আরবি ভাষার জ্ঞান হাসিল কর।’ অপর এক বর্ণনায় তিনি বলেন, তোমরা আরবি ভাষা শেখো কেননা, এটা তোমাদের দীনের অংশ। (ইবন আবি শায়বা)
দুঃখ জনক হলেও সত্য এখন মুসলমানদের ভিতরে আরবি শিক্ষা নেই বললেই চলে। স্কুল, কলেজ, বিশ বিদ্যালয়ে কোনো আরবি বা কুরআনিক শিক্ষা দেয়া হয় না। মাদ্রাসায় কোনমতে টিকে আছে আরবি ভাষা। অথচ এক সময় (১২০৫-১৭৫৭) আরবিই ছিল শিক্ষার প্রধান বাহন। সে আমলই বাংলার ইতিহাসের স্বর্ণযুগ। সেই স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে হলে আজ সর্বাগ্রে দরকার আরবি ও কুরআনিক শিক্ষার বাস্তবায়ন। তাহলেই গড়ে ওঠবে সোনার মানুষ। এই সোনার মানুষেরাই হবে দেশ গড়ার সত্যিকার কারিগর।
পৃথিবীর যেকোনো ভাষার প্রধানত তিনটি বৈশিষ্ট্য। তা চিন্তাজগতের প্রথম সিঁড়ি, জ্ঞানজগতের আধার এবং যোগাযোগ, ভাষণ-বক্তব্য ও আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। কিন্তু আল্লাহ তাআলা আরবি ভাষায় ওহি অবতরণ করায় সব ভাষার মধ্যে আরবি এক অনন্য মর্যাদার অধিকারী হয়।
আরবীকে ‘ভাষার জননী’ বলা হয়। অতএব, কোরআন শিক্ষা করা, অনুধাবন করা, তেলাওয়াত করা এবং কোরআন এর অনুসরণ-অনুকরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য কর্তব্য। ছেলে-মেয়েদের শিশুকাল থেকেই কোরআন শিক্ষাদান করা পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকদের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আরবি ভাষায় সহজে পুরোপুরি সুস্পষ্ট ভাব বর্ণনা করা যায়। আরবি ভাষার এ বৈশিষ্ট্যের স্বীকৃতি রয়েছে পবিত্র কোরআনেও। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুস্পষ্ট আরবি ভাষায় আমি তা অবতরণ করেছি।’ (সুরা : শুআরা, আয়াত : ১৯৫)
আরবি ভাষার সাথে ইসলামের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও অবিচ্ছিন্ন। পবিত্র কুরআন মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাযিল হয়েছে আরবি ভাষায়। এবং পুরো কুরআনই আরবি ভাষায় নাযিলকৃত। এটি সম্পূর্ণ আরবি এবং এতে কোনো বিদেশি শব্দ নেই। ইমাম শাফিয়ী (রহ.) তাঁর আর-রিসালা গ্রন্থে বলেন, ‘কুরআন এই দিক-নির্দেশনা দেয় যে আল্লাহর কিতাবের কোনো অংশই আরবি ভাষার বাইরে নয়…।’ আল্লাহর কিতাবের ১১টি আয়াত হতে এ নির্দেশনা পাওয়া যায় যে, কুরআন সম্পূর্ণ আরবি ভাষায় নাযিলকৃত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, ‘বিশ্বস্ত রূহ একে নিয়ে অবতরণ করেছে। আপনার হৃদয়ে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন। সুস্পষ্ট আরবি ভাষায়।’ [আশ-শুআরা: ১৯৩-১৯৫]
আশাকরি, বিষয় ভিত্তিক আয়াত ও হাদিস অ্যাপলিকেশনটি পড়ে আপনারা প্রাত্যাহিক জীবনে অনেক উপকৃত হবেন এবং আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের মাঝে এ্যাপটি শেয়ার করে তাদেরকে ও পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
বিঃ দ্রঃ এই অ্যাপ সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অভিমত আমাদের একান্ত কাম্য। ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পাঠানো অভিমতের ভিত্তিতেই এই অ্যাপের উন্নয়ন ও সংশোধনের ব্যাবস্থা করা হবে। (ইনশাআল্লাহ) ধন্যবাদ